প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষার শুরু হয় । প্রাথমিক শিক্ষা ২(দুই) ধরনের । যথাক্রমে মাদ্রাসা এর শিক্ষা ও বিদ্যালয় এর শিক্ষা । প্রাথমিক শিক্ষা মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ৪(চার) থেকে ৫(পাঁচ) এবং বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৫(পাঁচ) থেকে ১১(এগারো) বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এটি সাধারণত মাদ্রাসার ক্ষেত্রে মসজিদ এর বারান্দা এবং বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বটগাছের নিচে অথবা রাস্তার সংযোগ স্থলে অথবা গ্রাম্য বাজারের কাছাকাছি স্থাপন করা হত । প্রাথমিক শিক্ষাপ্রষ্ঠিানের পরিসর সুসজ্জিত নয় এবং এর কক্ষগুলো ছোট ছোট ও অত্যন্ত ঘিঞ্জি । এই প্রতিষ্ঠানের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশী শিক্ষার্থী থাকে । শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার উপকরণ সরবরাহ করা হত না । তাদেরকে অপর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হত । তাদের শিক্ষার মান ছিল নিম্ন । প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষকই ছিল অযোগ্য । এতদ্সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতি গঠনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । তবে, অতীতের তুলনায় বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের তাদের মেধা বিকাশের জন্য উপযুক্ত ও মানসম্মত পরিবেশ এর অভুতপূর্ব অগ্রগতি স্বাধীত হয়েছে । অতীতে একজন শিক্ষকের মান ছিল খুবই নগন্ন এবং তাদের যোগ্যতা এতটা আশানোরুপ ছিলনা । বর্তমানে মাদ্রাসা এর শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষক হন নুন্যতম একজন হাফেজ-এ ক্বারী বা হাফেজ এবং বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নূন্যতম আই. এ বা আই. কম বা আই. এস. সি(ইন্টারম্যাডিোয়ট অব আর্স, ইন্টারম্যাডিোয়ট অব কমার্স, ইন্টারম্যাডিোয়ট অব সায়ন্স) । বর্তমানে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যাই বেশী । তাঁর কারণ, ছেলেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা চাই বি. এ, বি. কম, বি. এস. সি(ব্যাচেলর অব আর্স, ব্যাচেলর অব কমার্স, ব্যাচেলর অব সায়ন্স) । যার দরুণ ছেলেরা তাদের যোগ্য হতে হতেই তাদের বয়স প্রায় শেষ হয়ে যায় । যার ধরুণ ছেলেরা অন্যান্য সরকারী বেসরকারী চাকরীর সন্ধানে নেমে যায় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস